লরেন্স রবার্ট হ্যারিস-উইভার/Michigan Department of Corrections
ওয়ারেন, ২৯ জুলাই : শহরের ৪৮ বছর বয়সী লরেন্স রবার্ট হ্যারিস-উইভারের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও যৌন সহিংসতার গুরুতর অভিযোগ এনেছে ওকল্যান্ড কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি একজন মহিলাকে জোরপূর্বক বাণিজ্যিক যৌন কার্যকলাপে বাধ্য করতেন। কিন্তু তিনি এই অবৈধ কার্যক্রম থেকে মুক্তি চাইলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
প্রসিকিউটর অফিস জানায়, হ্যারিস-উইভারের বিরুদ্ধে “মানব পাচার - জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে বাণিজ্যিক যৌন কার্যক্রম ও পতিতাবৃত্তি থেকে অর্থ উপার্জনের” অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে ম্যাডিসন হাইটসের ৪৩তম জেলা আদালতে হাজির করা হয়। আগামী ৬ আগস্ট বিচারক কিথ হান্টের সামনে একটি সম্ভাব্য কারণ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
ঘটনার সূত্রপাত ২১ জুলাই। ভুক্তভোগী নারী আর এই কাজ চালিয়ে যেতে চান না বলে জানালে হ্যারিস-উইভার তাকে মুখে আঘাত করেন এবং হত্যার হুমকি দেন। আহত অবস্থায় তিনি সাহায্যের জন্য কাছের একটি ব্যবসায় আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে ট্রয় পুলিশ তাকে কোরওয়েল হেলথ ট্রয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি ম্যাডিসন হাইটস পুলিশকে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ করেন।
ওকল্যান্ড কাউন্টি প্রসিকিউটর কারেন ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “পাচারকারীরা ভয়, হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। এই নারীর সাহস এবং তাকে সাহায্যকারী গুড সামারিটানদের আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।”
হ্যারিস-উইভারের অতীতেও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। মিশিগান সংশোধন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, তার বিরুদ্ধে পূর্বে বাড়িতে অনুপ্রবেশ, কোকেন বহন এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপর আক্রমণের অভিযোগ ছিল।
আইন অনুযায়ী, মানব পাচারের অপরাধে ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১৫,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। আর পতিতাবৃত্তি থেকে অর্থ লাভের অপরাধে সর্বোচ্চ ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
Source & Photo: http://detroitnews.com
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan